বাংলাদেশের সবথেকে বড় ওয়াটার পার্ক | MANA BAY | মানা বে ওয়াটার পার্ক মুন্সিগঞ্জ
মানা বে " এশিয়ার ৩য় বৃহত্তম ওয়াটার পার্ক। গত ২২ সেপ্টেম্বর ধুমধাম আয়োজনের মধ্যে দিয়ে উদ্ভোদন হয়ে গেলো এই পার্কটি। এই অনুষ্টানের দেশ বিদেশের অনেক শিল্পিও এসেছিলো। এই পার্কের ভেতরে প্রবেশ করলেই আপনার মনে হবে এ কোনো বিদেশের পার্ক নয় তো? হ্যা আপনিও এভাবেই অবাক হবেন। মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার বাউশিয়া এলাকায় বাংলাদেশের প্রথম প্রিমিয়াম ওয়াটার পার্ক ‘মানা বে’র উদ্বোধন হয়েছে।
অনুষ্ঠানে ওপেনিং প্যারেড, ওয়ারিয়র ড্যান্স, হাক্কা ড্যান্স ও স্টিল্ট ওয়াকিং পারফরম্যান্সসহ একটি প্রাণবন্ত কার্নিভালের আয়োজন করা হয়।সম্পূর্ণ ব্রিটিশ বিনিয়োগে এসি এস টেক্সটাইলের মালিকানায় পরিচালিত এ ওয়াটার পার্কটি দর্শনার্থীদেরকে অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা দিতে ও আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে দাবি করেন উদ্যোক্তারা।প্রকল্পটিকে বাস্তবায়নে সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে স্বনামধন্য রাইড সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হোয়াইটওয়ার্টার।
watch video: click
মানা বে ' যা অর্থা প্রকৃতির আদ্যাতিক শক্তি ও প্রশান্তি। এটি মুন্সিগঞ্জে জেলার গজারিয়ায় অবস্থিত একটি পার্ক, যা বিদেশি পার্কগুলোর আদোলেই ৬০ হাজার স্কয়ার মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত যায়গা নিয়ে পার্কটি ১০ বছর সময়ে তৈরি করা হয়েছে এই বিশাল ওয়াটার পার্ক। এশিয়ার ৩য় বৃহত্তর ওয়াটার পার্ক হলেও এটি বাংলাদের সব থেকে বড় ওয়াটার পার্ক এখন এই মানা বে "। এটি বাংলাদেশ ও বিদেশিদের মিলিত একটি প্রকল্প। যা দেখাশুনার দায়িত্ব আছে বাংলাদেশের কোনো এটি কোম্পানি।
এই পার্কটির ভিউ ও নকশা আপনাকে বার বার মনে করিয়ে দিবে আপনি হয়তো আছেন দেশের বাহিরের মালদ্বীপ, সিংগাপুর, থাইলেন্ড এর কোনো একটি পার্কের মধ্যে। অপরূপ কারুকাজ, যে কারো নজর কারবে। এর ভেতরে রয়েছে ১০-১৭টি ওয়াটার রাইড। যা উপভোগ করা যাবে এক টিকেটেই। এক একটি রাইড আপনাকে একেক ভাবে আনন্দ দিবে। এই পার্কের ভেতরের সব রাইডই ওয়াটার রাইড, তাই যারা পুল পার্টি বা ওয়াটার ল্যান্ড পছন্দ করেন তারাই বেশি এনজয় করতে পারবেন এই পার্কে। তা ছাড়াও পরিবার নিয়ে কাটাতে পারবেন আনন্দের সময়। রাইড ছাড়াও এখানে রয়েছে রেস্টুরেন্টে, রেষ্ট নেওয়ার তাবু তা ছাড়াও গাড়ি পার্কিং এর সুব্যাবস্থা।
এখন জানাবো এটি কোথায় অবস্থীত এবং আপনি কি ভাবে এখানে যাবেন তা সম্পর্কে। এই মানা বে পার্কটি ঢাকার অদুরে মুন্সিগঞ্জে জেলার গজারিয়ায় অবস্থীত একটি পার্ক। তাই ঢাকা থেকে চাইলেই ১/২ ঘন্টায় আপনি যেতে পারবেন এই পার্কে। ঢাকার গুলিস্তান, সায়দাবাদ, যে কোনো যায়গা থেকেই আপনি মুন্সিগন্জ মেঘনা ব্রিজ হয়ে ভবেরচর বাসস্ট্যান্ডে এসে ঢাকা চট্টগ্রাম হাইওয়ের সাথেই পেয়ে যাবেন এই পার্কটি।
এই পার্কটি আসলে সাধারন মানুষের বিনোদনের জন্য তৈরি করা হয়নি, আর তাই চাইলেই আপনি যেতে পারবেন না এই পার্কে, তার কারন হচ্ছে এই পার্কের ভেতর ঢুকতে হলে আপনাকে গুনতে হবে জনপ্রিয় ৬০০০ টাকা, হ্যা আপনি ঠিকই শুনছেন। এই পার্কে প্রবেশের ক্ষেত্রে প্রাপ্ত বয়স্কদের দিতে হবে জনপ্রতি ৬০০০ টাকা এবং অপাপ্ত বয়সীদের দিতে হবে তার অর্ধেক মানে ৩০০০ টাকা এবং এই এক টিকেরের মধ্যেই আপনি পার্কের সবগুলো রাইড উপভোগ করতে পারবেন৷কিন্তুু এই টিকেট শুধু সারাদিন ভেতরে ঘুরা আর সকল রাইডের জন্যই সীমাব্দ খাবারের জন্য আপনাকে আলাদা ভাবে আবার টাকা পরিশোধ করতে হবে।
এখন আপনাদের জানাবো এই পার্কটির সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে। আসুন শুরুতেই জেনে নেই এই পার্কটির সুবিধা সম্পর্কে।
১. এটি একদম বিদেশি আর্কিটেক্ট কনসেপ্ট নিয়ে তৈরি করা হয়েছে তাই এই পার্কের ভিউ আপনাকে প্রতিসময়ে ফিল করাবে আপনি হয়তো দেশের বাহিরের কোনো একটি স্থানে আছেন।
২. আপনি এই পার্কে এক টিকেটে সবগুলো রাইড পেয়ে যাবেন, এবং যতবার খুশি আপনি রাইড নিতে পারবেন। যা হয়তো বাংলাদেশের আর কোনো পার্কে দেওয়া হয় না।
৩. এই পার্কে পাবেন গাড়ী পার্কিং এর ব্যাবস্থা। যেখানে পায় ৩০০ গাড়ি পার্কিং করা যাবে। তাই গাড়ি পার্কিং এর সমস্যা যাদের আছে তাদের আর চিন্তার কোনো কারন নেই।
৪. টিকেট মূল্যা বেশি হওয়ার কারনে সবাই চাইলেই এখানে ঘুরতে যেতে চাইবে না, আর তাই শত মানুষের ভিড়ে আপনার সব কিছু উপভোগ করা লাগবে না, নিজের মতো করে সময় কাটাতে পারবেন এই পার্কে।
৫. ঢাকার কাছে হওয়ার অল্প সময়েই দিনে গিয়ে দিনেই ঘুরে ফিরে আসতে পারবেন।
এতোক্ষন জানলেন এই পার্কের সুবিধা সম্পর্কে, আসুন তবে জেনেনেই কি অসুবিধা আছে এই পার্কের মধ্যে।
১: টিকেট মূল্যা অন্য সব পার্কের থেকে প্রায় ৫/৭ গুন বেশি হওয়ার করনে, অনেকে ঘুরতে যেতে চাইলেও হয়তো এতো এন্টি ফি এর জন্য এই পার্কের ভেতর প্রবেশ করতে পারবেন না।
২. যারা এই পার্কে ঘুরার পাশাপাশি রাত্রিযাপন করতে চান, তারা এই মুহূর্তে রাত্রিযাপন করতে পূরবেন না। তবে নিদিস্ট সময়ের জন্য তাবু ভাড়া নিয়ে সময় কাটাতে পারবেন। তবে হয়তো কিছু সময় পর রিসোর্ট এর দেখাও পেতে পারেন।
পরিশেষে বলতে চাই আপনি এই পার্কে যেতে চাইলে আপনাকে আগে অনলাইনে টিকেট বুকিং দিতে হবে। বর্তমানে সব কিছু অনলাইনেই পরিচালিত হচ্ছে।
Comments
Post a Comment